Claim
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক নারীর আঘাতপ্রাপ্ত শরীরের একাধিক ছবি সংযুক্ত করে একটি পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পোস্টটিতে দাবি করা হয়েছে: “মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীদের সর্বোচ্চ অধিকার দিয়েছিলেন। নারীর নির্যাতন মামলার নাম শুনলে ভয়ে অনেক পুরুষ সোজা হয়ে যেত। কিন্তু আজ কী হচ্ছে? নারী নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের হাহাকারে ডুবে আছে পুরো বাংলাদেশ। আপনার নিজের বিবেক দিয়ে একটু চিন্তা করুন—আগে ভালো ছিলেন নাকি এখন ভালো আছেন?”

এমন দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
Fact
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে গণমাধ্যম জাগো নিউজ২৪ ডট কমের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১৯ মে ‘শিক্ষিকা স্ত্রীকে বেদম পেটালেন শিক্ষক স্বামী’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সঙ্গে আলোচ্য ছবিগুলোর সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৯ সালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের কারণে শারমিন আক্তার (২৬) নামের এক শিক্ষিকা তার শিক্ষক স্বামীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। স্বামী ও শ্বশুর মিলে তাকে রড দিয়ে পিঠ, হাত ও কোমরের নিচের অংশে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন।
এছাড়াও, ওই ঘটনাটি নিয়ে সে সময় মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোতেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। উক্ত প্রতিবেদনে একই নারীর ভিন্ন একটি ছবি পাওয়া যায়, যা ভিন্ন এঙ্গেল থেকে তোলা হয়েছিল। অর্থাৎ, আলোচিত নির্যাতনের ঘটনাটি সাম্প্রতিক নয়, বরং এটি পূর্বে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।
সুতরাং, ২০১৯ সালে জামালপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ের নারী নির্যাতনের ঘটনার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে যা বিভ্রান্তিকর।
Result: False
Our Sources
Jagnonews24
Prothom Alo
যে কোন বিষয়ের সত্যতা জানতে, মতামত অথবা অভিযোগ প্রদানে আমাদের ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়- checkthis@newschecker.in. এছাড়াও ভিজিট করুন আমাদের Contact Us পেইজটি এবং নির্দিষ্ট ফর্মটি পূরণ করুন।