Wednesday, June 18, 2025

Fact Check

Fact check: কয়লা আমদানি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তির ছড়াছড়ি

Written By Rifat Mahmdul
Jun 14, 2023
banner_image

Claim

image

Fact

image

Claim-নানা দেশ থেকে কয়লা আমদানি করছে বাংলাদেশ
Fact-শুধু মাত্র চীন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করে চলমান সঙ্কট নিরসন করবে পিডিবি

বাংলাদেশে সম্প্রতি চলমান বিদ্যুৎ ও কয়লা সঙ্কট নিয়ে গণ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরব হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন দেশ থেকে কয়লা আসছে দাবিতে ছড়িয়ে পড়ছে নানা পোস্ট। কখনো আর্জেন্টিনা তো কখনো রাশিয়ার নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। পোস্টগুলো দেখুন এখানে এখানে এখানে এখানে  এখানে এখানেএখানে

ভাইরাল পোস্টের স্ক্রিনশট
কার্টেসিঃ টিকটক/ ইউজার
ভাইরাল পোস্টের স্ক্রিনশট
কার্টেসিঃ টিকটক/ ইউজার
ভাইরাল পোস্টের স্ক্রিনশট
কার্টেসিঃ টিকটক/ ইউজার

নিউজচেকার-বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কয়লা-এ দাবিটি যাচাই করে দেখেছে যে দাবিটি মিথ্যা। 

Fact check/ Verification

গুগল কি-ওয়ার্ড সার্চ এর সাহায্যে ও বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসন্ধান করে দেখা গেছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, আমেরিকা ও রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করার দাবিগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। পিডিবি কেবল চীন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করে বর্তমান বিদ্যুৎ সঙ্কট নিরসনের পরিকল্পনা রেখেছে। 

বর্তমানে দেশের বেশ কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা জ্বালানী সঙ্কটে ভুগছে যা পরিমাণে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা গুলোর ৩৩ শতাংশ বলে এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। আর এই সঙ্কটের পেছনে মুল কারণ হিসেবে রয়েছে কয়লা আমদানি করার অপারগতা। সম্প্রতি ডলার সঙ্কটের কারণে এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় জ্বালানী কয়লার সরবারহও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এছাড়াও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে প্রয়োজনীয় কয়লা ও অন্যান্য জ্বালানীর প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর।  প্রতিবেদন দেখুন এখানে- প্রথম আলো, বিবিসি

বিদ্যুতকেন্দ্রগুলোর বর্তমান চিত্র
কার্টেসিঃ প্রথম আলো

গত মে মাসের শেষ দিকে ও জুন এর প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের একাধিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন করা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ফলে দেশ জুড়ে শুরু হয় চরম মাত্রার লোডশেডিং। প্রতিবেদন দেখুন এখানে

এরই জের ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন দেশ থেকে কয়লা আমদানি করার খবর বেশ ভাইরাল হয়ে পড়ে। কোনো কোনো পোস্টে বলা হচ্ছে ওমান থেকে আমদানি হচ্ছে, আবার কোনোটিতে বলা হচ্ছে রাশিয়া, আর্জেন্টিনা বা আমেরিকা থেকে আনা হচ্ছে কয়লা। যার মধ্যে ওমান থেকে কয়লা আমাদানির ভুয়া দাবি সর্বাপেক্ষা ভাইরাল হয়। এই বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলো ভাইরাল হওয়ার পর তার বিপরীতে  বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। 

তবে চলমান জ্বালানী সঙ্কট নিরসনে  কয়লা আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে চীন থেকে ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন কয়লাবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে এসে পৌছেছে। এই কয়লা যাবে বাগেরহাট রামপাল বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রে। অন্যদিকে  পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩৭ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আমদানি ইতিমধ্যেই করা হয়েছে নতুন এলসির মাধ্যমে বলে এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বরাতে সাংবাদিকদের বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার জন্য জাহাজে কয়লা আসছে। বিভিন্ন তথ্য মতে জুন মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লার মজুদ থাকবে যা পুর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উতপাদন সক্ষম করবে। এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের কয়লা আমদানিতে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, আমেরিকা বা রাশিয়ার নাম অনুপস্থিত।  

Conclusion: 

চীন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হয়েছে বলে জানা গেলেও ব্রাজিল, আমেরিকা, রাশিয়া ও আর্জেন্টিনা থেকে কোন প্রকার কয়লা আমদানির কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় নি।  

Result: False

Our Sources:
প্রথম আলো, বিবিসি


image
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান অথবা whatsapp করুন- +91-9999499044 অথবা আমাদের ইমেল করুন checkthis@newschecker.in​. এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Newchecker footer logo
Newchecker footer logo
Newchecker footer logo
Newchecker footer logo
About Us

Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check

Contact Us: checkthis@newschecker.in

703

Fact checks done

FOLLOW US
imageimageimageimageimageimageimage